জাহিদুল কবির মধুপুর (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরশহরের মালাউড়ী (অলিপুর) গ্রামের নাছরিন নামের (২৩) এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
নাছরিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কথা বললেও নাছরিনের পরিবার দাবি করেছেন তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী, নাছরিনের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, মধুপুর পৌরশহরের অলিপুর গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে শুভ (২৯) এর সাথে বেরীবাইদ ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছোট মেয়ে নাছরিনের সাথে প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। নাছরিন মাদারগঞ্জের কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নাছরিনের শ্বাশুড়ি খোদেজা বেগম জানান, শনিবার রাতে রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া সেরে শুভ ও নাছরিন এক সাথেই ঘুমাতে যায়। সকাল থেকে আমরা শুভকে পাইনি। নাছরিনকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরে গিয়ে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।
নাছরিনের ভাই রুবেল মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। পারিবারিক ভাবে একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নাছরিন। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে নাছরিন ১৪/১৫ দিন আগে বাবার বাড়িতে চলে আসে।
ওই সময় আমরা নাছরিনকে শুভদের বাড়িতে না যাওয়ার জন্য বহুবার বুঝিয়েছি। নতুন করে জীবন গড়ার কথা বলেছি। কিন্তু নাছরিন বার বার বলেছে, ‘আবার নতুন সংসার করার চেয়ে ওকে যদি ভালো করতে পারি তাহলেই মঙ্গল।’ স্বামীকে ভালো করার জন্যই এসে লাশ হয়েছে আমার বোন। আমরা নাছরিনের হত্যার বিচার চাই।
দুপুরে মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদি হাসান লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়তদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।